সেদ্ধ ডিমে শরীরের জন্য উপকারী মনোআনস্যাচুরেটেড ও পলিআনস্যাচুরেটেড চর্বি আছে। এগুলো স্যাচুরেটেড ফ্যাটকে সরিয়ে দিয়ে তার স্থান দখল করে এবং রক্তের কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে ফেলে। ফলে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে। হার্টের জন্য উপকারী এই চর্বিগুলো ইনসুলিনও নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তের চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। বিশেষ করে টাইপ-২ ডায়বেটিসের জন্য এ ধরনের ফ্যাটগুলো খুবই উপকারী। সেদ্ধ ডিমের দুই তৃতীয়াংশই এ ধরণের উপকারী ফ্যাট দিয়ে গঠিত।
সেদ্ধ ডিমে প্রাকৃতিকভাবেই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। ব্রেকফাস্টে একটি সেদ্ধ ডিম খেলে ৬ গ্রামের বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়।
ডিমের একটি প্রধান খাদ্য উপাদান হলো ভিটামিন এ। ভিটামিন এ রেটিনায় আলো শুষে নিতে সহায়তা করে, কর্নিয়ার পাশের মেমব্রেনকে রক্ষা করে এবং রাতকানার ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন সকালে একটি সেদ্ধ ডিম খেলে খাবার তালিকায় ৭৫ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ যুক্ত হয়।
সেদ্ধ ডিমে আছে ভিটামিন ডি, যা হাড় ও দাঁত শক্ত করে। ভিটামিন ডি খাবার থেকে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে সহায়তা করে এবং রক্তের ক্যালসিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে শরীরের হাড়ের কাঠামো মজবুত ও শক্ত হয় এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ হয়।
একটি বড় সেদ্ধ ডিমে প্রায় ৮০ ক্যালোরি আছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ ক্যালোরি আসে চর্বি থেকে। ফলে সকালে একটি মাত্র সেদ্ধ ডিম খেলে সারাদিন শক্তি পাওয়া যায় এবং দুর্বলতা হ্রাস পায়।
ভাজা ডিমে ক্যালরির পরিমান বেশী থাকে এবং কোলেস্টেরল এর পরিমান ও বেশি থাকে। হাসের ডিমে পুষ্টিগুন সব চেয়ে বেশী থাকে। তবে অনেকের এলার্জীর কারনে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বে ও হয়তো খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হয়। তবে ডিম যে শরীরের জন্য বিশেষ ঊপকারী তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
Comments
Post a Comment