সর্তকবিধি- মশার কয়েল শরীরের ক্যান্সার সৃষ্টি করে

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মশার হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য মশার কয়েল খুব প্রয়োজনীয়৷ একটু স্বস্তির ঘুমের জন্য আমাদের কাছে  মশার কয়েলের বিকল্প নেই।  আমি বা আপনি হয়তো অধূমপায়ী কারন আমরা সবাই জানি ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কিন্তু আমরা কি জানি ধূমপান থেকে ও শতগূন বেশী ক্ষতি করে এই মশার কয়েল!!!!!!
মুব্বাই  এ পরিবেশ বিষয়ক এক আলোচনায় বিশিষ্ট নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সুজিত রাজন বলেন- বায়ুদূষণের জন্য মশার কয়েল মারাত্মক ভূমিকা রাখে।  একটি মশার কয়েল ১০০ টা সিগারেটের সমান ক্ষতি করে। সম্প্রতি  Unisef বাচ্চাদের থেকে মশার কয়েলকে দূরে রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। মশার কয়েল তৈরির উপাদান গুলোর নাম পড়লে আপনি হয়তো ভড়কে যাবেন নিশ্চিত। মশার কয়েল তৈরিতে ব্যবহৃত হয়-
১.কাঠের গুড়া ও নারিকেল এর ছোবড়া
২.সীসা
৩.ফেরিক
৪.ম্যাংগানেজ
৫.এলেথ্রিন
৬.পাইরেথ্রিন ইত্যাদি
কাঠের গুড়া ও নারিকেল এর ছোবড়াকে বলা হয় শ্বাসকষ্টের উত্তেজক। এগুলো শ্বাসকষ্টের জন্য দায়ী। সীসা, ফেরিক, ম্যাংগানেজ নিশ্বাসের মধ্য দিয়ে আমাদের ফুসফুসের প্রবেশ করে ক্রমান্বয়ে রক্তের মাধ্যমে ব্রেন এ প্রবেশ করে এবং মস্তিষ্কের নিউরন এর প্রবল ক্ষতি সাধন করে।  পাইরেথ্রিন মূলত কৃষিকাজে কীটনাশক হিসাবে ব্যবহৃত হয়৷ একবার ভাবুন এই কীটনাশক উপাদান আমরা প্রতিরাতে শ্বাসপ্রশ্বাসের সাথে নিজের শরীরে নিচ্ছি। মশার কয়েলের প্যাকেটে এলেথ্রিন ব্যবহারের উল্লেখ আছে, নূন্যতম মাত্রা হলো ০.৩% অর্থ্যাত এর বেশী ব্যবহারের মানবশরীরের জন্য ক্ষতিকর কিন্তু একটি জরিপে দেখা গেলো মশার কয়েল তৈরিতে কোন উপাদান মাত্রা নিদিষ্ট করে দেয়া নেই। যতটুকু ইচ্ছা হাতের পরিমাপ অনুসারে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া পাইরেথ্রিন ও এলেথ্রিন আমাদের ফুসফুসের সেল গুলোকে ক্রমান্বয়ে ধ্বংস করে যাচ্ছে আমাদেরই অগোচরে। মশার কয়েলকে বর্তমানে অনেকেই আর্কিনোজেন বাহ ক্যান্সার তৈরির উপাদান হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।  যা আমাদের ফুসফুস ক্যান্সার এর জন্য দায়ী।
বর্তমানে ম্যাজিক মশারি হয়তো অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন এই মশার হাত থেকে বাচার জন্য। ম্যাজিক মশারি তৈরিতে TAB 1-2-3  Chemical compound ব্যবহার করা হয় যা আমাদের মানবশরীরের জন্য হুমকীসরুপ।
সারা পৃথিবীতে মশার কামড়ে সৃষ্ট ডেংগু, ম্যালেরিয়া, জিকা ভাইরাস এর মতো মারাত্মক রোগে বছরের লক্ষাধিক মানুষের প্রানহানী ঘটে। অতএব এই মশার থেকে বাচতে হলে ভালো মানের মশারী ব্যবহার করতে হবে। বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বাড়ির ফুলের টবে, ফ্রিজের নিচে জমানো পানি রাখা যাবে না।  এতে করে মশার আবাসস্থল ও ধ্বংস হবে, আমি ও আপনি ও সুস্থ  থাকবো।  

Comments

  1. ভাউ,
    অনেক সময়ে মশার কয়েলের ধোঁয়া তে মাথা ঝিম ঝিম করে, নেশা জাতীয় মনে হয়, তা কেন হয় ?

    ReplyDelete
    Replies
    1. বিষাক্ত উপাদান থাকার কারনে তা আমাদের শ্বাসনালীতে গিয়ে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এই কারনে এমন লাগে

      Delete
  2. thanks vaia thast is very useful post...💜👌 I wait for your next post...

    ReplyDelete
  3. Well said...helpfulpost
    Thanks again
    All the best

    ReplyDelete

Post a Comment